
প্রিন্ট: ২৬ জুন ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
সাবেক এপিএস ইস্যুতে মুখ খুললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৫ এএম

ছবি : সংগৃহীত
গত বছরের আলোচিত জুলাই-আগস্ট রাজনৈতিক রদবদলের পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। ৮ আগস্ট শপথ গ্রহণের এক সপ্তাহ পর, ১৪ আগস্ট, তিনি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোয়াজ্জেম হোসেনকে সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসেবে নিয়োগ দেন। তবে সম্প্রতি, ২১ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে মোয়াজ্জেমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এরপর থেকেই মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে তদবির, বদলি-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে। এসব অভিযোগকে কেন্দ্র করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নিজেই বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)।
রাজধানীর হেয়ার রোডে সরকারি বাসভবনে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বর্তমানে মোয়াজ্জেম মন্ত্রণালয়ের কোনো দায়িত্বে নেই, ফলে আমরা অভ্যন্তরীণ তদন্ত করতে পারছি না। এ কারণে দুদকের মতো স্বাধীন সংস্থাকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করে।”
মোয়াজ্জেম হোসেনের অব্যাহতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের বিষয়েও কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি জানান, “প্রথমে অব্যাহতির কথা বলা হলেও, পরে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যে পদত্যাগপত্রের ভিত্তিতেই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মোয়াজ্জেম গত ২৫ মার্চ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন, যা আমরা ঈদের ছুটির পর গ্রহণ করি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “মোয়াজ্জেম শুরু থেকেই জানিয়েছিলেন, সরকারি চাকরির সুযোগ পেলে তিনি এই পদ থেকে সরে যাবেন। ব্যাংকে চাকরির ভাইভা ও বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা সামনে থাকায় তিনি নিজ ইচ্ছাতেই পদত্যাগ করেন।”
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও অভিযোগ চেয়েছি, তবে এখন পর্যন্ত নির্ভরযোগ্য কোনো অভিযোগ পাইনি। এরপরও, যেহেতু এ বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তাই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমরা দুদককে বলেছি যেন তারা বিষয়টি তদন্ত করে।”
তিনি আরও জানান, শুধু মোয়াজ্জেম নয়, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে এবং তাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এই মন্তব্য ও পদক্ষেপগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতিশ্রুতিকে পুনরায় সামনে নিয়ে এসেছে।