
প্রিন্ট: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম
বর্তমান সভ্যতা আত্মবিনাশী, বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি করছে বর্জ্য : ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
বর্তমান সভ্যতাকে আত্মবিনাশী আখ্যা দিয়ে একে বিশ্বজুড়ে বর্জ্য সৃষ্টিকারী হিসেবে বর্ণনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দুপুরে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের বি২৩৯ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমরা যে সভ্যতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তা আত্মবিনাশের পথে এগোচ্ছে। এ সভ্যতা কেবল বিশ্বজুড়ে বর্জ্য সৃষ্টি করছে, যা একসময় আমাদের ধ্বংস করে দেবে, — বলেন ড. ইউনূস।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত অধিবেশনের শিরোনাম ছিল ‘তিন শূন্যের একটি বিশ্ব নির্মাণ: শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শূন্য সম্পদ মজুদ এবং শূন্য বেকারত্ব’। এ সময় ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্ব নিয়ে বিশদভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল সানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন ড. ইউনূস। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
এদিকে কাতারের রাজধানী দোহায় বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন ড. ইউনূস। উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী, মালয়েশিয়ার রাজপরিবার ও সাবেক মন্ত্রিসভার সদস্য, কাতারের রাজপরিবারের প্রতিনিধি, শীর্ষ ব্যাংকার ও প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রে রূপান্তর করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে এবং বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সবসময় উন্মুক্ত।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরাও উৎপাদন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি, ব্যাংকিং ও পর্যটন—বিশেষত কক্সবাজারের রিসোর্ট জোনে বিনিয়োগ সম্ভাবনা যাচাইয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. ইউনূস।
এই বৈঠকেও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।