
প্রিন্ট: ২৭ জুন ২০২৫, ০৪:৫২ এএম
শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জঁ পিয়েরে লাক্রোয়া
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (২০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশি নারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বেশি করে অন্তর্ভুক্ত করতে আমি উৎসাহিত করছি।
আলোচনায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম প্রধান শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বর্তমানে ১১টি সক্রিয় মিশনের মধ্যে ১০টিতে ৫,৬৭৭ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী কর্মরত রয়েছেন।
জঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোয়া বলেন, জাতিসংঘ নারীদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের নির্দিষ্ট ভূমিকায় সীমাবদ্ধ না রেখে নেতৃত্বসহ সব স্তরে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশকেও এই উদ্যোগে সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেমের (PCRS) আওতায় দ্রুত মোতায়েনের উপযোগী পাঁচটি ইউনিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বহাল রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, শান্তিরক্ষায় নেতৃত্ব পর্যায়ে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়াতে জাতিসংঘ সদর দপ্তর ও মিশন পর্যায়ে সুযোগ বাড়ানো জরুরি।
তিনি জাতিসংঘের যাচাইকরণ প্রক্রিয়া কঠোরভাবে অনুসরণের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতা জোরদারে বাংলাদেশ আন্তরিক।
আলোচনায় জানানো হয়, আগামী ১৩-১৪ মে জার্মানির বার্লিনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল বিদেশ উপদেষ্টার নেতৃত্বে অংশ নেবে।
এছাড়া মিয়ানমারে চলমান সংঘাত, সীমান্তে গোলাগুলি, বেসামরিক হতাহত এবং নাফ নদীর আশপাশে জনজীবনে বিঘ্নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংকট আরও গভীর হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছেন এবং স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক কক্সবাজার সফর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আশাকে নতুন করে উজ্জীবিত করেছে।