
প্রিন্ট: ২৯ জুন ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
বিশ্বে পুরোনো শত্রু মিত্রে পরিণত করার অনেক উদাহরণ রয়েছে: উপ-প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বে পুরোনো শত্রুদের মিত্রে পরিণত করার বহু উদাহরণ রয়েছে। ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড শত শত বছর যুদ্ধ করেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে একসঙ্গে লড়েছে। একইভাবে, আমেরিকা জাপানে বোমা মেরে পরে তাদের মিত্রে পরিণত করেছে।
আজাদ বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এখন থেকে হবে বাংলাদেশকেন্দ্রিক, যা দেশের স্বার্থে পরিচালিত হবে। তিনি আরও বলেন, এক প্রতিবেশীকে খুশি করতে গিয়ে আরেক প্রতিবেশীর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা কোনো স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না।
তিনি জানান, পাকিস্তানের সফররত পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠকে অমীমাংসিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা প্রার্থনা, সম্পদ বিভাজন, এবং আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন।
আজাদ বলেন, ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কমপক্ষে ৪.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দাবি করতে পারে। এছাড়া, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে প্রাপ্ত ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদানও দাবি করা হয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের প্রতিবন্ধকতাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই সবচেয়ে ভালো উপায়। অন্তর্বর্তী সরকার এই সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজ করছে এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও অনুসন্ধান করছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসও এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। আজাদ বলেন, এখনই সময় অতীতের বিষয়গুলো নিরসন করে ভবিষ্যতের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার।