
প্রিন্ট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ১২:০৩ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম

সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি : সংগৃহীত
সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণের ফলে স্থানীয় জনগণের জীবিকায় যেন কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে লক্ষ্যে নানামুখী কর্মসংস্থানমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, দ্বীপের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য বিকল্প ও টেকসই জীবিকা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় সেন্টমার্টিনবাসীর বিকল্প কর্মসংস্থানের দিক নির্দেশনা নির্ধারণে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে একটি ওয়ার্কিং টিম গঠন করা হয়।
এই টিমে কৃষি, মৎস্য, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ট্যুরিজম বোর্ড, বন বিভাগ, জেলা প্রশাসন এবং বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। তারা দ্রুত সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করবেন।
সভায় আলোচনায় উঠে আসে, মৎস্যজীবীদের জন্য আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব জাল ও ডিভাইস সরবরাহ, শুটকি মাছ উৎপাদন ও ব্র্যান্ডিং, সিউইড ও মাশরুম চাষ, সবজি উৎপাদন, পোল্ট্রি ও গবাদিপশু পালন—এসব উদ্যোগ স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তি দেবে।
তরুণ ও নারীদের জন্য ব্লগিং, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ফটোগ্রাফি, সেলাই, নকশি কাঁথা, নারিকেল ছোবড়া দিয়ে দড়ি বানানো, স্মারক সামগ্রী তৈরি ইত্যাদি কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের সহায়তা, বৃক্ষরোপণ, রেস্টুরেন্টে কাজ শেখানো ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো উদ্যোগের কথাও উঠে আসে।
পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্যুর গাইড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। জমির ধরণ বিবেচনায় স্থানীয়দের সবজি চাষে উৎসাহিত করা হবে, পাশাপাশি শুটকি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, কোস্ট গার্ড, টেকনাফের ইউএনও ও সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।
আশা করা হচ্ছে, এই উদ্যোগগুলো দ্বীপের পরিবেশ রক্ষা ও স্থানীয় জনগণের আয় বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।