
প্রিন্ট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৮ এএম
শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে দুই দেশের জনগণের সম্পর্ক হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই সম্পর্ক কোনো রাজনৈতিক দলের নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে, তবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা চেয়েছি তাকে ফিরিয়ে আনা হোক, বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য।
তিস্তা নদীর পানি বণ্টন ইস্যুতে ভারত ও চীনের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অগ্রগতি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। হুট করে সমাধান হবে না। তবে বাংলাদেশের দরজা উন্মুক্ত—ভারত কিংবা চীন, যে প্রজেক্টটা সুবিধাজনক হবে, সেটি নিয়ে কাজ করা হবে।
চীনে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক সফরকে তিনি বৃহত্তর স্বার্থে ইতিবাচক বলে অভিহিত করেন। সেই সঙ্গে বিমসটেকের নেতৃত্বে পরিবর্তন ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নিয়েও বক্তব্য দেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যথাযথ সংস্কার সম্পন্ন হলে সরকার নির্বাচন দেবে। বিদেশি বন্ধুদের বারবার নির্বাচন নিয়ে জানতে চাওয়ার পেছনে রয়েছে কূটনৈতিক ও বিনিয়োগ-সংক্রান্ত স্বার্থ।
ইতালি প্রবাসীদের ভিসা ইস্যুতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। ইতোমধ্যে জমা পড়া আবেদনে ত্রুটি পাওয়ায় সেগুলোর যাচাই ছাড়া ভিসা/ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া সম্ভব নয় বলে ইতালির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনকে সমর্থনের নামে বিদেশি কোম্পানির ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধীরা এ ধরনের অপকর্ম করছে। লুটপাট কখনো প্রতিবাদের অংশ হতে পারে না। আশা করি, এতে বিনিয়োগের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
সবশেষে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কোনো অস্বস্তিকর বক্তব্য যেন না আসে, সেজন্য দুই পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের—এটিই মোদির বার্তা।
রাই