
প্রিন্ট: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
পরবর্তী বাজেটে স্থানীয় চাহিদাভিত্তিক প্রকল্পের অগ্রাধিকার : অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:০৫ এএম

ছবি : সংগৃহীত
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট হবে বাস্তবসম্মত ও প্রয়োজনভিত্তিক, যেখানে স্থানীয় চাহিদাভিত্তিক প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আগামী অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, নতুন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পরিকল্পনায় অতীতের মতো বিশাল ব্যয়বহুল প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, যেগুলো কার্যকর ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার শিল্প খাতকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সচেষ্ট থাকবে। তবে পরবর্তী বাজেট প্রচলিত কাঠামো অনুযায়ী হলেও এতে বাস্তবসম্মত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাজেট এমনভাবে প্রণয়ন করা হবে যাতে পরবর্তী কোনো রাজনৈতিক সরকার এটি বাতিল করতে না পারে। বাজেট বক্তৃতার ক্ষেত্রেও সংক্ষিপ্ততা বজায় রেখে ৬০ পৃষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের চেয়ে স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে তা অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় থাকবে না। সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে, কারণ সীমিত সম্পদের মধ্যে সরকারকে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়া এড়ানো সম্ভব নয়, তাই কৌশলগত প্রস্তুতির মাধ্যমে দেশের অবস্থান সুসংহত করতে হবে। বিশ্বে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার দিকে তাকিয়ে আছে, তাই সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের সুনাম আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। দেশের প্রতিযোগিতামূলক দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রযুক্তি, সেমিকন্ডাক্টর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, দেশকে একটি নগদহীন অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নিতে হবে এবং এমন কর ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যেখানে করদাতাদের কর কর্মকর্তাদের কাছে সরাসরি যেতে হবে না, বরং প্রযুক্তিনির্ভর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর প্রদান করা যাবে।
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, সিনিয়র সাংবাদিক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।