
প্রিন্ট: ৩০ জুন ২০২৫, ০৩:২৬ এএম
সীমিত সংস্কারে ডিসেম্বরে ভোট, বৃহত্তর সংস্কারে বিলম্ব : নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ঢাকায় এক বৈঠকে মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স (ডেমোক্র্যাট-মিশিগান) এর সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সীমিত সংস্কারে সম্মত হয়, তবে নির্বাচন ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে বৃহত্তর পরিসরে সংস্কারের দাবি উঠলে জাতীয় নির্বাচন আরও পিছিয়ে যেতে পারে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সিনেটর পিটার্স নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেন যে, নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর। তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলো যদি প্রধান কমিশনগুলোর সংস্কার প্রস্তাবে একমত হয়, তবে জুলাই মাসে একটি ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরিত হবে, যা দেশের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে।
সিনেটর পিটার্স জানান, তার নির্বাচনী এলাকা মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটসহ বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিকরা বসবাস করেন। তাদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন সিনেটর বলেন, ভ্রান্ত তথ্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্রেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস আশ্বস্ত করেন, তার সরকার মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যে কোনো ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ বা সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি জানান, গত বছরের আগস্টে কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা হয়েছিল, তবে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং বলেন, অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদেরও এখানে আসা উচিত, যাতে তারা সরেজমিনে ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে পারেন। তিনি বলেন, ভ্রান্ত তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বাস্তব চিত্র বুঝতে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
বৈঠকে দুই নেতা সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়ার সম্ভাবনা ও ক্ষুদ্রঋণের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন। তারা আলোচনা করেন কীভাবে এই মডেলগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনের কার্যকরী উপায় হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।