
প্রিন্ট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০১:০৭ পিএম
‘শিগগির তুলাকে কৃষি পণ্য ঘোষণা করা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
তুলাকে কৃষি পণ্য ঘোষণার পাশাপাশি দেশীয় তুলা উৎপাদন বৃদ্ধিতে আগামী দুই মাসের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এছাড়া দেশীয় তুলার ওপর আরোপিত ট্যাক্স জরুরিভিত্তিতে প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৭ মার্চ) পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে বাংলাদেশে তুলা চাষের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তামাক চাষ জমির উর্বরতা নষ্ট করছে। তামাকের পরিবর্তে তুলা চাষ করলে কৃষক যেমন লাভবান হবেন, তেমনি দেশও অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে।
তিনি আরও জানান, সরকার দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয় কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবে না।
এনবিআর সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন (কাস্টম বন্ড) জানান, দেশীয় তুলার ওপর থেকে ট্যাক্স-ভ্যাট প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে এবং শিগগিরই এ বিষয়ে সুখবর আসবে।
বাংলাদেশ কটন জিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাবের বলেন, তুলাকে এখনো কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় কৃষকরা কৃষি ঋণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পেলে দুই লাখ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করে আমদানি করা তুলার এক-চতুর্থাংশ দেশে উৎপাদন করা সম্ভব।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. ফকরে আলম ইবনে তাবিব জানান, খাদ্য নিরাপত্তা ব্যাহত না করেই বছরে ২০ থেকে ২৫ লাখ টন তুলা উৎপাদন সম্ভব, যা বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সুদান কটন জিনিং ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সুদানে তুলা চাষে সফল উদ্যোক্তা মো. আবুল খায়ের জানান, উচ্চ ফলনশীল তিনটি নতুন জাতের তুলা পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে, যা তুলা উৎপাদনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা বলেন, তুলাকে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার বিষয়টি অনেকের অজানা ছিল। তাই নীতি সহায়তা দিয়ে এ খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো জরুরি।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইআরএফ, বাংলাদেশ কটন জিনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সুদান কটন জিনিং ইন্ডাস্ট্রিজ।