BETA VERSION মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
Logo
ইউনিকোড কনভার্টার
Logo
  • হোম
  • সর্বশেষ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • সারাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • প্রবাস
  • চাকরি

সব বিভাগ ভিডিও আর্কাইভ ইউনিকোড কনভার্টার
Logo

প্রিন্ট: ১৭ জুন ২০২৫, ১০:৪৮ এএম

Swapno

জাতীয়

মিল্টন সমাদ্দারের জালিয়াতির হাতেখড়ি ছোটবেলায়: ডিবির তদন্ত

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম

মিল্টন সমাদ্দারের জালিয়াতির হাতেখড়ি ছোটবেলায়: ডিবির তদন্ত

ছবি : সংগৃহীত

আলোচিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’-এর চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের জালিয়াতির হাতেখড়ি ছোটবেলাতেই। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, জালিয়াতি করে ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি ও মানব পাচারের অভিযোগে হওয়া মামলা তদন্ত করে আদালতে দেওয়া চার্জশিটে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গত বছরের ২ মে ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি দৈনিক  জাতীয় পত্রিকা। সেই প্রতিবেদনে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে আসা অনেক অভিযোগেরই সত্যতা মিলেছে ডিবির তদন্তে।

ডিবির তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, মিল্টন সমাদ্দারের জালিয়াতির হাতেখড়ি ছোটবেলা থেকেই। বরিশালের উজিরপুর থানার ডহরপাড়া গ্রামের সামাদিয়া দারুল উলুম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই নানা ধরনের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত হন মিল্টন সমাদ্দার। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে সার্টিফিকেট তৈরির অপরাধে স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিল্টন একবার তার এলাকার এক ছেলেকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। ওই ঘটনায় তার বাবা বেদু সমাদ্দার তাকে শাসন করতে গেলে মাছ মারার টেঁটা দিয়ে বাবাকে কোপ দেন মিল্টন। পরে তিনি বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান। ঢাকায় এসে প্রথমে ওষুধ ব্যবসায় যুক্ত হন তিনি। পরে নার্সিং প্রশিক্ষণ নেন। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করার পর ২০১৬ সালে অসুস্থ বয়স্কদের নিয়ে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন।

আশ্রমের মানুষজনকে নির্যাতন করার বিষয়টিও উঠে এসেছে ডিবির তদন্তে। মতিউর রহমান মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মিল্টন সমাদ্দার ও তার স্ত্রী মিঠু হালদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ ছাড়া জালিয়াতির মাধ্যমে ডেথ সার্টিফিকেট তৈরির মামলায় মিল্টন সমাদ্দার ও তার হেলথ কেয়ারের ম্যানেজার কিশোর বালাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ ছাড়া মানব পাচারের মামলাতেও চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় জামিনে কারামুক্ত হয়ে ফেসবুকে ফের মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মিল্টন। নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করে অনুদান চাইতেও দেখা যায় তাকে।

ডিবির তদন্ত প্রতিবেদন আরও বলছে, ডাক্তার না হয়েও নিজেই ছুরি-ব্লেড দিয়ে আশ্রমের অসুস্থদের কাটাছেঁড়া করেন মিল্টন। প্রয়োজনে নিজেই হাত-পা কেটে ফেলেন। ফেসবুকে ৯০০ জনের লাশ দাফন করেছেন স্ট্যাটাস দিলেও বাস্তবে দাফন করেছেন ১৫০ জনের লাশ। এ ছাড়া নিজে স্বাক্ষর দিয়ে ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেটও তৈরি করেন মিল্টন সমাদ্দার। এমন সব অপরাধ আড়াল করে নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা সাজিয়ে মিল্টন ফেসবুকে তার ১ কোটি ৬০ লাখ ফলোয়ারের সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে কোটি টাকা আয় করেন। তার ১৪টি ব্যাংক হিসাবে মিলেছে ১ কোটি ৮০ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৩ টাকা।

২০১৭ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেন মিল্টন। কোনো পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেননি। এরপর ২০১৯ সালে মিল্টন তার নিজ বাড়ির পাশেই ‘চন্দ্রকান্ত মেমোরিয়াল চার্চ’-এর কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সহকারী সচিব মো. তরিকুল ইসলামের স্বাক্ষর জাল করেন। পরে বিষয়টি ধরা পড়ে বলে ডিবির তদন্তে উঠে এসেছে।

ডিবির চার্জশিটে বলা হয়েছে, মিল্টন সমাদ্দার রাস্তায় কোনো অসুস্থ বয়স্ক, পচা গলা, পাগল, প্যারালাইজড লোক বা অটিস্টিক শিশু অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে আছে খবর পেলে লোকজনের মাধ্যমে রাস্তা থেকে তুলে অফিসে আনতেন। পরে তার আশ্রমের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে নিজেই তাদের ক্ষতগুলো পরিষ্কার করতেন। মানুষকে ধোঁকা দিতে নিজের প্রতিষ্ঠানে ডাক্তারদের ভুয়া নাম লিখে বোর্ডে লাগিয়ে রাখতেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে কোনো ডাক্তার নেই। তিনি নিজেই অপারেশন করে নিজেই তাদের চিকিৎসা করতেন। মিল্টন তার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার কিশোর বালার সহযোগিতায় বয়স্কদের শরীরে কোন পচন বা গ্যাংগ্রিন থাকলে নিজেই ব্লেড দিয়ে কাটাছেঁড়া করতেন। প্রয়োজনে নিজেই হাত-পা কেটে ফেলতেন। ব্লেড, ছুরি দিয়ে কাটাছেঁড়ার ফলে অধিক রক্তক্ষরণের কারণে চিৎকার করলেও তাতে কর্ণপাত করতেন না মিল্টন।

মিল্টন সমাদ্দার ৯০০ লাশ দাফন করেছেন বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। কিন্তু বাস্তবে ১৫০ জন লাশ দাফন করেছেন বলে আসামি নিজেই জানান। বেশি লাশ দাফনের কথা বললে মানুষের কাছ থেকে বেশি টাকা পাওয়া যায়, এজন্য সে মিথ্যা তথ্য ফেসবুকে আপলোড করে মানুষকে প্রতারিত করেছেন। তারা অপরাধমূলকভাবে জাল ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে সেই মৃত ব্যক্তির সৎকারের জন্য টাকা উঠাতেন। এ ছাড়া এক এনআইডি ব্যবহার করে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে একাধিক লাশ দাফন করেছিলেন বলেও তদন্তে উঠে এসেছে।

মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে তদন্ত কর্মকর্তা। আগামী ২০ মার্চ চার্জশিটগুলো আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

মিল্টন সমাদ্দার জালিয়াতি

এ সম্পর্কিত আরো খবর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সব খবর

সব খবর

আরো পড়ুন

Logo

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: jugerchinta24@gmail.com

আমাদের কথা যোগাযোগ শর্তাবলি ও নীতিমালা গোপনীয়তা নীতি বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা

অনুসরণ করুন

২০২৫ যুগের চিন্তা ২৪ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

ঠিকানা: ২১/বি (৫ম তলা), গার্ডেন রোড, পশ্চিম তেজতুরীবাজার, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫ | যোগাযোগ: +৮৮০১৩৩৯৪০৯৮৩৯, +৮৮০১৩৩৯৪০৯৮৪০ | ই-মেইল: jugerchinta24@gmail.com