তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি তুঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৮ এএম

ছবি : সংগৃহীত
টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দান সামিয়ানায় ছেয়ে গেছে, বিদেশি অতিথিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে টিনের ছাউনি। পানির হাউস ও বাথরুম পরিষ্কারসহ পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে।
আয়োজক কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসা ছাত্রদের সহায়তায় প্রস্তুতিগুলো চূড়ান্ত করছে। বিশ্ব ইজতেমার দুই সপ্তাহ আগে, শুক্রবার তুরাগ তীরে এ দৃশ্য দেখা যায়। আগামী ৩১ জানুয়ারি সেখানে অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী ‘মহাসম্মিলন’।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতি পরিদর্শনে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রস্তুতির ৭০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং সময়মতো বাকি কাজ শেষ হবে।
তিনি বলেন, তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বিরা ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি নেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা করা হয়। ইজতেমার পরিধি বাড়ার কারণে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়।
শরফ উদ্দিন আরও বলেন, টয়লেট, স্বাস্থ্য, খাবার ও ওযুর পানির মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে সরকার সহযোগিতা করছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন, পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ অন্যান্য দপ্তর এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি জানান, ইজতেমার প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড ঠিকভাবে এগোচ্ছে এবং আশাবাদী যে ইজতেমা শুরুর আগেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। ইজতেমা ময়দানের আশেপাশের দোকানপাটসহ অবৈধ স্থাপনাগুলো সরাতে রবিবার থেকে জেলা প্রশাসন অভিযান চালাবে।
তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের শুরা মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, নামাজের কাতার, খুঁটি স্থাপন, সামিয়ানা টাঙানোসহ বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ শীঘ্রই শেষ হবে।
ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শফিউল আজম এবং গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিনও উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় পর্ব ৭-৯ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা থাকলেও, অন্তর্বর্তী সরকার এখনো স্পষ্ট কোনো ঘোষণা দেয়নি।