স্ত্রী-সন্তানসহ নানক-শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, তার স্ত্রী সৈয়দা আরজুমান বানু এবং তাদের মেয়ে এস আমরীন রাখির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮৪ হাজার মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার স্ত্রী সালমা ওসমান এবং তার শ্যালক তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করেন। দুদকের পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

আক্তার হোসেন জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিসিএল) থেকে লাইসেন্স নিয়ে রাতুল টেলিকম নামের একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন তারা। ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন সৈয়দা আরজুমান বানু এবং পরিচালক ছিলেন এস আমরীন রাখি। তারা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ক্ষমতা ব্যবহার করে বৈদেশিক ইনকামিং কল থেকে যে অর্থ আয় করেছিলেন, তা দেশে না এনে পাচার করেছিলেন, যা মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ।

অপরদিকে, ২ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৮ মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার স্ত্রী সালমা ওসমান এবং তাদের ছেলে তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, কে টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালমা ওসমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ এবং সাবেক এমপি শামীম ওসমান বিটিসিএলের লাইসেন্সধারী অপারেটর হিসেবে ৯১ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৫টি আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের মূল্য বাবদ ২ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৮ মার্কিন ডলার আয় করেছিলেন। তবে তারা এই বিপুল অর্থ দেশে না এনে পাচার করেছিলেন, যা মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ।