জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া উপস্থাপন: সর্বদলীয় বৈঠকে মতামত আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া উপস্থাপন করা হয়েছে। তিন পৃষ্ঠার খসড়া উপস্থাপনের পর রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে সর্বদলীয় এ বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সংবিধান, ১/১১ ষড়যন্ত্র, আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলের স্বরূপ বর্ণনা করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয় এবং নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার অভিপ্রায় জানানো হয়।
ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতার জন্য যুগের পর যুগ সংগ্রাম, পাকিস্তানের শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। তবে ১৯৭২ সালের সংবিধান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ ও অংশগ্রহণকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের মতামত ও প্রত্যাশাকে প্রতিফলন করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
এছাড়া, ঘোষণাপত্রে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন, গুম-খুন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং একদলীয় স্বার্থে সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তনের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে রাজনৈতিক দল, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, শ্রমিক প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ যোগদান করে এবং আন্দোলনের একপর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন প্রদান করে।
ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার পতন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জনগণ ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ পরিচালনা করে এবং অবৈধ ও অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান।
ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, ১৯৭২ এবং ১/১১ কালের রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য একটি নতুন জনতন্ত্র (রিপাবলিক) প্রয়োজন যা রাষ্ট্রে সকল ধরনের নিপীড়ন, শোষণ ও বৈষম্যর অবসান ঘটাবে এবং এ দেশের তরুণ সমাজের প্রত্যাশাকে ধারণ করতে পারবে।
ঘোষণাপত্রটি ৫ আগস্ট ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।