
প্রিন্ট: ২৮ জুন ২০২৫, ০৬:২৩ এএম
ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম

ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় ব্রিটিশ এমপি এবং শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম *ফিন্যান্সিয়াল টাইমস* এ বিষয়ে চাঞ্চল্যকর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে নিখোঁজ ব্যারিস্টার আরমান সম্পর্কে টিউলিপ সিদ্দিককে প্রশ্ন করেছিলেন ব্রিটিশ গণমাধ্যম চ্যানেল ৪-এর এক সাংবাদিক। টিউলিপ যেহেতু ব্রিটিশ নাগরিক এবং এমপি, তাই ওই সাংবাদিক মনে করেছিলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি ফোনকল আরমানের মুক্তিতে সহায়ক হতে পারে। তবে এ প্রশ্নে ক্ষুব্ধ হন টিউলিপ এবং পরবর্তীতে তার ক্ষমতা ব্যবহার করে আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
*ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে* দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার আরমান জানান, ওই সময় চ্যানেল ৪-এর প্রতিবেদনের প্রচারের কয়েক ঘণ্টা আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে ভয় দেখায় এবং চুপ থাকতে বলে। তাকে বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং এমনভাবে হেনস্তা করা হয় যেন তিনি কোনো সন্ত্রাসী।
আরমান আরও বলেন, “আমার বিষয়ে টিউলিপকে প্রশ্ন করায় শেখ পরিবারের মধ্যে এটি কোনোভাবে আঘাত হেনেছিল। সেই কারণেই প্রশাসন থেকে এমন আচরণ করা হয়।”
২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর চ্যানেল ৪-এর সাংবাদিক টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে গিয়ে ব্যারিস্টার আরমানের বিষয়ে অবহিত করে তাকে সাহায্যের আহ্বান জানান। তবে টিউলিপ সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয়ে বলেন, “আপনি কি বলতে চান আমি বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ? আমি ব্রিটিশ এমপি। আমাকে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ বলার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।” এ কথা বলেই তিনি স্থান ত্যাগ করেন।
*ফিন্যান্সিয়াল টাইমস* এ ঘটনায় টিউলিপ সিদ্দিক এবং লেবার পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে টিউলিপের এক সহযোগী জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ফরেন অফিসে ব্যারিস্টার আরমানের বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। দীর্ঘ ৮ বছর পর, ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিনি মুক্তি পান।