প্রথম আলো–ডেইলি স্টারসহ চার কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
দৈনিক প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত চালানো অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। তারা হলেন— মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা ও মো. শফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই চলছে।
প্রেস উইং জানায়, রবিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছে যে সাম্প্রতিক এসব হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের নিকটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার ঘটনায়ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
শেরপুর জেলার বাসিন্দা রাকিব হোসেনকে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করা হয়েছে। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আইডি থেকে ধ্বংসস্তূপের ছবি ও উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে হামলার ঘটনায় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন, তিনি মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছিলেন। ওই টাকা দিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কেনা হয়, যা ইতোমধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মাদকসহ অন্যান্য অভিযোগে মোট ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার অন্যদেরও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।



