ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের সার্বিক প্রস্তুতি জানাতে আজ বুধবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই দিন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সিইসির ভাষণ রেকর্ড করা হবে, যেখানে ভোটের তফসিল ঘোষণা থাকবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই সিইসির ভাষণ রেকর্ড করা হবে, যা পরবর্তীতে প্রচার করা হবে।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) তফসিল ঘোষণা করা হবে।

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকে এবং তাদের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। ফলে এবার ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীক থাকছে না। নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল থাকা দলের প্রতীক ব্যালটে স্থান পাবে না বলে নিশ্চিত করেছেন কমিশনার মাছউদ।

এবারই প্রথমবারের মতো আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসী ভোটাররা, সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী এবং কারাবন্দীরা। এছাড়া জোট করলেও অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ থাকছে না।

সর্বশেষ হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, মহিলা ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ হাজার ২৩৪ জন।

ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৭৬১টি এবং ভোটকক্ষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি। দুই ভোট একসঙ্গে হওয়ায় গোপন কক্ষ কিছুটা বাড়তে পারে। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ নিবন্ধিত অর্ধশতাধিক দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। যদিও আওয়ামী লীগ নেই, জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত। বর্তমানে নিবন্ধিত দল ৫৬টি, যা ভোটের আগেই বাড়তে পারে।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আগাম প্রচার সামগ্রী সরাতে হবে। অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তফসিলের পর মাঠে নামবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এবং গঠিত হবে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।