তফসিল ঘোষণার আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসতে চায় ইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে আয়োজনের প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল ঘোষণার বাকি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তফসিলের আগে শুধু রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা থাকলেও এবার প্রথমবারের মতো তফসিলের খসড়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। যদিও সাক্ষাতের দিন-তারিখ এখনো চূড়ান্ত নয়। ইতোমধ্যে ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়ে রেখেছে কমিশন। এরপর যেকোনো সময় ঘোষণা করা হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল।
দুই ভোটের তফসিল একসঙ্গে ঘোষণা, নির্বাচন প্রস্তুতির নানা দিক সামাল দেওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব মোকাবিলা, দলগুলোর পরামর্শ গ্রহণ, আরপিও সংশোধন এবং নতুন দল নিবন্ধনের কাজ—এসব মিলিয়ে ইসির ওপর বাড়ছে চাপ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তফসিলের খসড়া চূড়ান্ত করবে কমিশন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছরের ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
ইসির একাধিক সূত্র জানায়, ৭ ডিসেম্বরের সভায় খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার পর ৭–৯ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে চায় কমিশন। তফসিল ঘোষণার আগের এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সংগঠনটি।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের দিন ১০ ডিসেম্বরই চূড়ান্ত। ওই দিন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ সব কমিশনার বঙ্গভবনে গিয়ে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরবেন। সেখান থেকেই তফসিল ঘোষণার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন মিলবে।
৭ ডিসেম্বরের সভায় তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য দিনক্ষণ, মনোনয়ন জমা, যাচাই–বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দসহ পুরো নির্বাচনসূচির কাঠামো চূড়ান্ত করা হবে। ইসির অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এবারও সাপ্তাহিক ছুটির আগে বা পরে ভোটের তারিখ রাখার বিষয়টি বিবেচনায় থাকতে পারে। সে হিসেবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর যেকোনো সময় তফসিল ঘোষণা হতে পারে। আলোচনা চলছে ভোটের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর বিষয়েও।
এদিকে নতুন দুটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তও আসতে পারে ৭ ডিসেম্বরের বৈঠকে। রাজনৈতিক সংবেদনশীল সময় বিবেচনায় এই প্রক্রিয়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে ইসি। সংশোধিত আরপিও, নিরাপত্তা পরিকল্পনা, পর্যবেক্ষক নিয়োগ, কিউআর কোডভিত্তিক পরিচয় যাচাইসহ সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইসির দাবি, তফসিল ঘোষণার পরপরই মাঠপর্যায়েও প্রস্তুতি বাস্তবায়ন শুরু করা সম্ভব হবে।



