নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর করতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা প্রকাশ প্রধান উপদেষ্টার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আশা প্রকাশ করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর করতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা শিগগিরই একটি নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের পথে যাত্রা করব—সেটিই আমাদের স্বপ্ন। নির্বাচন যেন সর্বাঙ্গসুন্দর, আনন্দমুখর ও উৎসবমুখর হয়, সেটার জন্য আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব।”
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী সবসময়ই জনগণের পাশে থেকে দেশগঠন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করেছে। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং চলমান সংস্কার কার্যক্রমেও বাহিনী আস্থার প্রতিদান দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সব বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে। তবে যে কোনো আগ্রাসী বাহিনীর আক্রমণ থেকে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়ন ও উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ফ্যাসিস্ট আমলে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন উপেক্ষিত হলেও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে বিএনসির কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে ছাত্র ও যুবসমাজকে দেশরক্ষা ও জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে মুক্তিযুদ্ধ নতুন গতি পায়। পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে এই যৌথ অভিযানের ধারাবাহিকতায় ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি আরও জানান, গত ৩৭ বছরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সদস্যরা ৪৩টি দেশে ৬৩টি মিশন সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তারা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০টি মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবদানকে তিনি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য রাষ্ট্রের মর্যাদার প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করেন।



