৬৭৮ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিক দিলীপ আগরওয়ালার বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে অবৈধভাবে অর্জিত ৬৭৮ কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান। তিনি জানান, ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের আর্থিক লেনদেন, নথিপত্র ও ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনার মাধ্যমে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। তদন্তে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় বাজার থেকে চোরাচালানের স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে। এ–সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য–প্রমাণ মিললে গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে ৬৭৮ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার ১৪ টাকার মানিলন্ডারিং মামলা রুজু করা হয়।
সিআইডির মুখপাত্র আরও জানান, ৫৭ বছর বয়সী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা দীর্ঘদিন ধরে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী হিসেবে স্বর্ণ–হীরা ব্যবসার আড়ালে অর্থ পাচার ও চোরাকারবারি করে আসছিলেন।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি এলসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে মোট ৩৮ কোটি ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার ১১ টাকা ৫২ পয়সা মূল্যের স্বর্ণবার, অলংকার, লুজ ডায়মন্ডসহ বিভিন্ন পণ্য বৈধভাবে আমদানি করে। একই সময়ে স্থানীয় বাজার থেকে কেনা ও বিনিময়–বাণিজ্যের মাধ্যমে সংগ্রহ করা ৬৭৮ কোটি টাকার অধিক স্বর্ণ ও হীরার কোনো বৈধ উৎস বা কাগজপত্র প্রতিষ্ঠানটি দেখাতে পারেনি। ফলে এগুলো চোরাচালানের মাধ্যমেই দেশে এসেছে বলে সিআইডির ধারণা।
চোরাচালানকৃত সম্পদ ও অপরাধলব্ধ অর্থের রূপান্তর, হস্তান্তর বা ব্যবহারের প্রমাণ মিললে অনুসন্ধান প্রতিবেদন সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপির কাছে দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে ১৬ নভেম্বর মামলার অনুমোদন দেয় ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
সিআইডি জানায়, গুলশান থানায় দায়ের হওয়া এ মামলা তফসিলভুক্ত হওয়ায় তদন্ত সিআইডিই পরিচালনা করবে। প্রয়োজনীয় নথি, ব্যাংক লেনদেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য যাচাই করে আইনানুগভাবে নিবিড় তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হবে।



