মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠিয়ে ৫২৫ কোটি টাকা লুটপাট, দুদকের ৬ মামলা
অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে ৩ হাজার ৩৩১ ব্যক্তির কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ আদায়ের মাধ্যমে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
আসামিরা হলেন- মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক রুহুল আমিন, মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন ও এমডি শাহানা ফেরদৌস, সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের মালিক শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, ইমপেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি মো. বদরুদ্দৌজা চৌধুরী, আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন ও পরিচালক শামসের আহমেদ।
অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে ৩ হাজার ৩৩১ ব্যক্তির কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ আদায় করা হয়েছে। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পাঁচগুণ পর্যন্ত বাড়তি অর্থ আদায় করেছেন। এ সময় তারা বিএমইটি ও বায়রা’র নিবন্ধন শর্ত ভঙ্গ করে অবৈধভাবে শ্রমিক নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এছাড়া, কর্মীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও অন্যান্য খরচের নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করে তা আত্মসাৎ করেন। দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।



