যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে কোনো অনিয়ম হয়নি: খাদ্য মন্ত্রণালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১০ পিএম
সরকার থেকে সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত মূল্য বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই আমদানি প্রক্রিয়া নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর ও তথ্যভিত্তিহীন’ খবর প্রকাশিত হয়েছে উল্লেখ করে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের অধীনে জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রথম ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম প্রতি টন ৩০২ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলারে এবং দ্বিতীয় ধাপে একই পরিমাণ গম প্রতি টন ৩০৮ ডলারে ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গমের সঙ্গে রাশিয়ার গমের মূল্যের তুলনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের গমের মূল্যে চট্টগ্রাম ও মোংলা সাইলো পর্যন্ত পরিবহন ব্যয়, বিমা, আনলোডিং ও বন্দরভিত্তিক খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। অন্যদিকে, রাশিয়ার গমের মূল্য নির্ধারিত হয় শুধুমাত্র দেশটির বন্দর পর্যন্ত (এফওবি) খরচ হিসেবে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার গমের মূল্য প্রতি টন প্রায় ২৩০ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম ২৩২ ডলার— অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২ ডলার। মানের দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের গমকে উন্নত বলা হয়; রাশিয়ার গমে গড়ে ১১ শতাংশ প্রোটিন থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গমে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ, যা পুষ্টিগুণে ও গুণমানে উন্নততর।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই মান, প্রোটিনের পরিমাণ ও পরিবহন খরচ বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম সামান্য বেশি হওয়া যৌক্তিক ও বাজারসম্মত। পুরো আমদানি প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা বজায় রেখে, প্রতিযোগিতামূলক উপায়ে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে সম্পন্ন হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয়।



