সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের মৌলিক বিষয় : ধর্ম উপদেষ্টা
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
অন্তরবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ কোন ইসলামিক রাষ্ট্র নয়, এটি সেকুলার রাষ্ট্র এবং আমার সংবিধানও সেকুলার। তাই আমাকে সব ধর্মীয় স্থানে যেতে হবে, এটা আমার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। আমি একক কোন ধর্মের উপদেষ্টা নই। এগুলো নিয়ে যারা কথা বলছেন, এসব অপপ্রচারে কান দিবেন না।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি একথা বলেছেন। আগামী ফেব্ররুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আমরা চলে যাব।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে থাকতে চাই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের মৌলিক বিষয়। পার্বত্য অঞ্চলসহ সারা দেশে এই সম্প্রীতির মাধ্যমে আমরা একসঙ্গে থাকতে পারব বলে আশাবাদী। রাষ্ট্র পরিচালনায় বিভেদ বা বৈষম্যের কোনো স্থান নেই।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার কোনো সেকেন্ড হোম নেই সুতরাং আমরা সেফ এক্সিট চাই না, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়েই নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে এই দেশেই থাকব।
তিনি বলেন, ফেব্ররুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার বদ্ধ পরিকর। এই বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব বরাবরই তথ্য দিয়ে আসছেন। যদি কোন শঙ্কা থাকে সেটি নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে মনিটর করে যা যা করার করবেন। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি শতভাগ।
সম্প্রীতির এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা হাজী শরীয়ত উল্লাহ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক।অনুষ্ঠানে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সাদেক হোসেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস. এম. ফরহাদ হোসেন, জামায়াতের আমির আবদুল আলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



