চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ সি যুদ্ধবিমান কিনবে বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০২৭ সালের মধ্যে এই ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ ও আনুষঙ্গিক খরচসহ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার ৬০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে সরাসরি ক্রয় বা সরকার-টু-সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে চীন সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের আশা করা হচ্ছে। যুদ্ধবিমানগুলোর মূল্য ১০ বছরের মধ্যে, অর্থাৎ ২০৩৫-২০৩৬ অর্থবছর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।
জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান চীনের জে-১০সি মডেলের রপ্তানি সংস্করণ। পাকিস্তান এই বিমান ব্যবহার করে ভারতের রাফায়েল যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করায় এটি আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনায় উঠে আসে, যদিও সেই দাবি যাচাই হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, প্রতিটি জেটের সম্ভাব্য মূল্য ৬ কোটি ডলার, যা ২০টি বিমানের জন্য মোট ১২০ কোটি ডলার বা প্রায় ১৪,৭৬০ কোটি টাকা। প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি, পরিবহন, বীমা, ভ্যাট ও অন্যান্য খরচসহ মোট ব্যয় দাঁড়াবে ২২০ কোটি ডলার বা ২৭,০৬০ কোটি টাকা।
চলতি বছরের মার্চে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে এই যুদ্ধবিমান ক্রয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়। এরপর গত এপ্রিল মাসে বিমানবাহিনীর প্রধানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়, যারা চুক্তির খসড়া, দরপত্র, মূল্য নির্ধারণ ও অন্যান্য বিষয় যাচাই-বাছাই করবে।
জে-১০ সিরিজের গুরুত্ব প্রসঙ্গে বলা হয়, চীনের বাইই অ্যারোবেটিক টিম ২০০৯ সালে জে-১০এ ও জে-১০এস অন্তর্ভুক্ত করে এবং ২০২৩ সালে সর্বাধুনিক জে-১০সি মডেলে আপগ্রেড করে। এই সিরিজের উন্নত প্রযুক্তি ও পারফরম্যান্স আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বর্তমান বহরে রয়েছে ২১২টি এয়ারক্রাফট, যার মধ্যে ৪৪টি ফাইটার জেট। এর মধ্যে ৩৬টি চীনা এফ-৭, ৮টি মিগ-২৯বি এবং রাশিয়ান ইয়াক-১৩০ লাইট অ্যাটাক বিমান রয়েছে। পরিবহণ ও প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে এমআই-১৭ হেলিকপ্টার, সি-১৩০জে পরিবহণ বিমান এবং চীনের কে-৮ প্রশিক্ষণ বিমান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মিডিয়াম-লিফট অপারেশনে, আর নৌবাহিনী ইতালীয় এডব্লিউ-১০৯ হেলিকপ্টার ও জার্মান ডিও-২২৮ বিমান ব্যবহার করে সমুদ্রসীমায় টহল মিশনে।



