দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার দিনগুলোতে দেশের আবহাওয়া থাকবে রোদ ও বৃষ্টির মিশ্রণে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে এবং এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আগামীকাল রোববার মহাষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শেষ হবে। ষষ্ঠী ও পরবর্তী দুই দিন আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে শুষ্ক থাকতে পারে, তবে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে কিছু এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ১ অক্টোবর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। বিশেষ করে ২ ও ৩ অক্টোবর, অর্থাৎ দশমী ও তার পরদিন দেশের অধিকাংশ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজশাহী বিভাগ ছাড়া অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টির মাত্রা বেশি হতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৬টায় ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূলের অদূরে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্য দেখা দিয়েছে এবং দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, নিম্নচাপের প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে কিছুটা পড়তে পারে, তবে দেশের অন্যান্য স্থানে তেমন প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কম।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে খুলনার কয়রায়—৫৩ মিলিমিটার। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ৩৬, খুলনায় ২৪ এবং কুতুবদিয়ায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে—২৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে। একইসঙ্গে রাজশাহী, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে চলমান মৃদু তাপপ্রবাহও প্রশমিত হতে পারে।



