ভোজ্যতেলের দাম বাড়তি, সবজির দাম কমলেও এখনও চড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
রাজধানীর খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আবারও বেড়েছে। তবে দীর্ঘদিন পর চালের বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। ভারত থেকে আমদানি বাড়ায় চালের দাম সামান্য কমলেও সবজির বাজার এখনো ভোক্তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব সরকার না মানলেও সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো কমিশন কমিয়ে দিয়েছে। এর প্রভাবে খোলা সয়াবিন ও সুপার পাম অয়েলের দাম লিটারে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭২ টাকায়, আর সুপার পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। কয়েকদিন আগেও দাম ছিল যথাক্রমে ১৬৯ ও ১৫০ টাকা।
অন্যদিকে, চালের বাজারে দেখা যাচ্ছে উল্টো প্রবণতা। ভারত থেকে সরু নাজিরশাইল ও মোটা কয়েক জাতের চাল আসায় দাম কমেছে। বর্তমানে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮৪ থেকে ৮৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৯০–৯২ টাকা। মোটা জাতের পায়জাম ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়, যা কেজিপ্রতি ৪–৫ টাকা কমেছে। তবে দেশি মিনিকেট চালের দাম অপরিবর্তিত থেকে ৭৮ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা বাজারের ব্যবসায়ী সালমান হোসেন বলেন, ভারত থেকে প্রচুর চাল আসছে বলে দাম কমছে। আমদানি আরও বাড়লে দাম আরও কমতে পারে।
সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি এলেও ভোক্তারা এখনো উচ্চ দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। রামপুরা ও খিলগাঁও বাজারে পটল, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙা কেজিপ্রতি ৬০–৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা, বেগুন, বরবটি, চিচিঙা কিনতে খরচ হচ্ছে ৮০–১০০ টাকা। তবে তুলনামূলক কম দামে পেঁপে ৪০ টাকা ও আলু ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও এসব সবজির দাম ৮০–১৪০ টাকার মধ্যে ছিল।
অন্যদিকে, মুরগি ও ডিমের বাজারে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭০–১৮০ টাকায় এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩০০–৩২০ টাকায়। ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১৩৫–১৪০ টাকায়।



