ধর্ষিত শিশুর বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহারে চিকিৎসক সাসপেণ্ড
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবা ও স্বজনদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার অভিযোগে চিকিৎসক আবুল কাশেমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বেলা তিনটার দিকে ই-মেইলের মাধ্যমে বরখাস্তের আদেশ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মিজানুর রহমান। আবুল কাশেম পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আদেশে বলা হয়, চিকিৎসক আবুল কাশেমের এমন আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণবিধির পরিপন্থী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হবে।
প্রসঙ্গত, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণের শিকার পাঁচ বছর বয়সী ওই শিশুকে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে ওই শিশুর বাবার কাছ থেকে মামলাসংক্রান্ত কাগজপত্র না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চিকিৎসক আবুল কাশেম। পরে শিশুটিকে ছাড়পত্র দিয়ে দেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ৩ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওই চিকিৎসক শিশুটির বাবাকে মারধর (ঘুষি দেওয়া) করতে চাওয়ার পাশাপাশি গালাগাল দিতে থাকেন।
ঘটনার পর সিভিল সার্জন সেদিন রাতেই আবুল কাশেমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেন এবং গত শনিবার পর্যন্ত তাঁকে নোটিশের জবাব দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ওই দিনই আরএমও পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, গত শনিবার চিকিৎসক আবুল কাশেম শোকজের জবাব দিয়েছেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। আজ মন্ত্রাণালয়ের আদেশে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।



