ফাইলবন্দি হয়ে আছে নগর পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের পরিবহন খাতকে সমন্বিতভাবে পরিচালনার জন্য ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর উত্থাপিত হয়েছিল বাংলাদেশ নগর পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিইউটিএ) আইন–এর খসড়া। এর মাধ্যমে বিদ্যমান ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বিলুপ্ত করে নতুন সংস্থার অধীনে বিভাগীয় ও গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর পরিবহনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছিল।
তবে খসড়া প্রণয়নের প্রায় চার বছর পরও আইনটি ফাইলবন্দি হয়ে আছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আইন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা এ নিয়ে কোনো আপডেট জানেন না, আর ডিটিসিএও বিষয়টি নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
খসড়ায় যা ছিল
বিইউটিএ গঠিত হলে মেট্রোরেল, বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), সার্কুলার বাস, কমিউটার রেলসহ সব ধরনের নগর পরিবহন পরিষেবা একটি সংস্থার অধীনে আসত। পরিষেবা পরিচালনা, উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, লাইসেন্স ইস্যু ও ভাড়া নির্ধারণের ক্ষমতাও পেত বিইউটিএ। ডিটিসিএর মতো অস্পষ্ট ধারার পরিবর্তে নতুন আইনে জরিমানা ও শাস্তির বিধান, রুট ফ্র্যাঞ্চাইজ ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট কার্ড (র্যাপিড পাস) সমন্বয় এবং পরিবহন অবকাঠামোতে একক কর্তৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
কেন এগোচ্ছে না?
ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার জানিয়েছেন, আইনটি এখন পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিটিসিএর দুর্বলতা ও ব্যর্থতাই নতুন আইন প্রণয়নে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বুয়েটের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, ডিটিসিএ নিজেই সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারেনি। ফলে অন্য সংস্থাগুলো কেন তাদের নির্দেশনা মানবে?
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান মনে করেন, নগর পরিবহন নিয়ন্ত্রণে একক সংস্থার প্রয়োজন হলেও তাকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা না দিলে আবারও এটি ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ হয়ে থাকবে।



