প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা অনাকাঙ্ক্ষিত: ফাওজুল কবির
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার বৈঠক কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর রেলভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনার পরও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির জানান, সমস্যা সমাধানে গঠিত সাত সদস্যের কমিটির পাঁচজন সদস্য বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পুরো কমিটি পুনরায় বৈঠকে বসবে এবং শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশীজন শিক্ষক ও অন্যান্য প্রকৌশলীদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত, এবং পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের যমুনা অভিমুখে যাত্রাকে অনভিপ্রেত উল্লেখ করে তিনি পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা জানান, আলোচনার বিষয়বস্তু আন্দোলনরত সহপাঠীদের সঙ্গে পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে—স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রকাশ্য ক্ষমা, কমিটি পুনর্গঠন, আহতদের চিকিৎসা ব্যয় সরকারকে বহন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও চাকরিচ্যুত করা এবং ডিসি মাসুদের বহিষ্কার।
এর আগে, ৯ম গ্রেডে ডিপ্লোমাধারীদের নিয়োগ এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার অভিযোগে ‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তিন দফা দাবি তুলে ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়। আন্দোলনে বুয়েটসহ অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।
বুধবার ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে পদযাত্রা করেন। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে তারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
আন্দোলনের মূল তিন দাবি ছিল—নবম গ্রেডে নিয়োগে বিএসসি ডিগ্রিধারীদের পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত, দশম গ্রেডে ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয়ের অংশগ্রহণের সুযোগ এবং বিএসসি ছাড়া প্রকৌশলী পরিচয়দানকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ। আন্দোলনকারীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।



