অবৈধ জালের ব্যবহার ইলিশের প্রাপ্যতা কমাচ্ছে : উপদেষ্টা ফরিদা
বরিশাল প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেছেন, ইলিশের উৎপাদন কমছে। প্রাকৃতিক কারণের পাশাপাশি নদীর নাব্য হ্রাস, মেঘনা নদীর অববাহিকায় দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এজন্য দায়ী। অবৈধ জালের ব্যবহারও ইলিশের প্রাপ্যতা কমাচ্ছে। বৃষ্টি না হলে ইলিশ ডিম পাড়তে পারে না। নদী ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়াও বড় সমস্যা। এসব উত্তরণে সরকার কাজ করছে। ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে ‘উপকূলীয় এলাকার মহিষের চারণভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সাধন’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ একটি অভিবাসী মাছ। এটি আগে সমুদ্র থেকে নদীতে আসে। পরে আবার সমুদ্রে ফিরে যায়। কিন্তু এখন এটি স্বাভাবিকভাবে ঘটছে না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জাটকা নিধন। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান চালালেও সম্পূর্ণভাবে এটি বন্ধ করা যায়নি। জালের ব্যবহারও ইলিশের প্রাপ্যতা কমাচ্ছে। তবে এসবের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন,শিগগিরই ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।
উপদেষ্টা আরো জানান, খুব শিগগির ঢাকায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নদী থেকে মাছ ধরে হাতবদলের সিন্ডিকেট বন্ধের পরিকল্পনা নেয়া হবে। এতে সাধারণ মানুষ সরাসরি বাজারে মাছ পাবে ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আসবে।
ফরিদা আক্তার বলেন, উপকূল এলাকায় মহিষের চারণভূমি সংকুচিত হয়ে গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বাড়িঘর নির্মাণসহ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনও এর একটি কারণ। দেশে গরু, ছাগল ও মহিষ পালন মানুষের খাদ্য ও জীবন রক্ষার জন্য জরুরি। কিন্তু পরিকল্পনাহীন নির্মাণের কারণে মহিষের মতো সম্পদ ক্ষতির মুখে পড়ছে। তবে সঠিক নীতি ও ব্যবস্থা নিলে এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বাফেলো অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড.ওমর ফারুক। আরো উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড.মো.মোস্তাফিজুর রহমান এবং জিজেইউএস নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন।



