Logo
Logo
×

জাতীয়

বিজিবি পাথর হরিলুটের দায় এড়াতে পারে না : জনপ্রশাসন সচিব

Icon

সিলিট প্রতিনিধি :

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম

বিজিবি পাথর হরিলুটের দায় এড়াতে পারে না : জনপ্রশাসন সচিব

ছবি-সংগৃৃহীত

সিলেটে পাথর লুটপাটের দায় বিজিবি কোনোভাবেই এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেছুর রহমান। কারণ সিলেটের সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের পাশেই বিজিবি ক্যাম্প, তাদের চোখের সামনেই অপরাধীরা হরিলুট করেছে।  

পাথর লুটপাটের ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের করা তদন্ত দলের সঙ্গে আজ শুক্রবার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি। দলটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘সাদাপাথরসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রকে ঘিরে প্যাকেজ প্রোগ্রাম নেওয়া হবে। ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে সাদা পাথর। পাথর লুটপাটে প্রভাবশালী রাজনীতিক বা প্রশাসনের বড়কর্তাদের যারাই জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

এর আগে তিনি সাদাপাথর ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পাথর লুটের ঘটনায় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানে দাবি করা হয়, পাথর লুটের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগি ছিলেন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্যরা। লুটপাটের নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও আওয়ামী লীগে ৪২ জন নেতা ও ব্যবসায়ী। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জড়িয়েছে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসি ও বিজিবি সদস্যদের নামও।

ঘটনার প্রেক্ষিতে গত সোমবার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয় জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুন্নাহারকে।

তবে পাথর লুটে নাম আসায় বিষয়টিকে ভূয়াউদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. ফকরুল ইসলাম ও এনসিপির সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন