ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের আয়োজন : সিইসি
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এমএম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আমরা সরকারের কাছ থেকে দ্রুত চিঠি পাওয়ার আশা করছি। যদিও এখনো চিঠি পাইনি, তবে নির্বাচন কমিশন আগ থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট আয়োজনের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সিইসি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘ভোটগ্রহণের অন্তত দুই মাস আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ওপর জনআস্থা প্রতিষ্ঠা, সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা, ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর অপব্যবহার রোধ করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা চেষ্টা করছি, যেন আগামী নির্বাচন আয়নার মতো স্বচ্ছ হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও উন্নতি হচ্ছে। নির্বাচনের সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি সন্তোষজনক হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান আছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই, স্ক্রুটিনি ও আপত্তি গ্রহণ শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ প্রক্রিয়া সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে চাই আমরা।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা। ডিসি, এসপি, প্রশাসন, পুলিশ, ডিজিএফআই, এনএসআই— সবাইকে বলেছি, কোনো দলীয় পক্ষপাত যেন না থাকে। সবাইকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। আগে রাজনৈতিক চাপ থাকলেও এখন আমরা বলেছি, পেশাদার ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে মনোযোগী হতে হবে।’
গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সিইসি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। যাদের পূর্বে পক্ষপাতমূলক আচরণ ছিল, তারা যেন এবার নিরপেক্ষ থাকেন— সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এখন আর আগের মতো চাপ নেই, বরং যারা অনিয়ম করবেন তাদের মানুষ, রাষ্ট্র এবং আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে অংশ নিতে পারবে না। তবে ব্যক্তিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন। তাদের সমর্থকরাও ভোট দিতে পারবেন।’
ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে, যা শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে। নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়াও চলছে। আমরা আশা করছি, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বড় কাজগুলো শেষ হবে।’ সিইসি আরো বলেন, ‘আমরা চাই এ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক ও ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত হোক।’



