অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তবে ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরানোই বড় চ্যালেঞ্জ: অর্থ উপদেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের অর্থনীতি গত এক বছরে খাদের কিনারা থেকে অনেকটা উপরে উঠে এসেছে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, সামনে মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, জ্বালানি সংকট, শুল্কসহ একাধিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তার মতে, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—ব্যবসায়ীদের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং স্লথ হয়ে যাওয়া ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরানো।
বুধবার (৬ আগস্ট) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অর্থনীতি এখন প্রকুরিয়াস বা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে কিছুটা স্বস্তির জায়গায় এসেছে। তবে এই অগ্রগতি বোঝার জন্য গভীর অন্তদৃষ্টি প্রয়োজন। ভাসা ভাসা দেখে মন্তব্য করলে প্রকৃত চিত্র ধরা পড়ে না।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে। এটি এমন নয় যে ঘোড়ার রাশ টেনে ধরলেই থেমে যাবে। বিশেষ করে নন-ফুড সেক্টরে মূল্যস্ফীতি এখনো চ্যালেঞ্জিং। বাজেট ঘাটতির বিষয়ে তিনি জানান, প্রভিশনাল হিসাব অনুযায়ী ঘাটতি এখন ৩.৬ শতাংশ, যা ৪.৫ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচনের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।
সংস্কার কার্যক্রম প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কিছু উদ্যোগ ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে, কিছু মিডটার্ম ও লংটার্ম পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি রোডম্যাপ তৈরি করছে, ক্যাপিটাল মার্কেটেও উন্নতির চেষ্টা চলছে। এনবিআর অধ্যাদেশ সংশোধনের কাজ চলছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে কিছু দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শুল্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতিকে “মোটামুটি” বলা যায়, তবে আরও কম হলে ভালো হতো। বাংলাদেশের আরএমজি ও নিট টেক্সটাইল খাত দ্রুত এডজাস্ট করতে পারবে, যদিও ওয়েভিং সেক্টরে কিছুটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি জানান, ইউএস চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখছেন। চুক্তি এখনো সই হয়নি, তবে দরকষাকষি চলছে এবং শুল্ক কমানোর বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।



