দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো প্রতিষ্ঠান নয়, বরং সমাজেরই অংশ—এবং এখানেও দুর্নীতির অস্তিত্ব রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে বরিশালের সিএন্ডবি রোডে দুদকের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চেয়ারম্যান ড. মোমেন বলেন, ‘দুদক সমাজের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান না। এখানেও দুর্নীতি আছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা কমিশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি কমিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, দেশের দুর্বলতার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে দুর্নীতি।
‘দুর্নীতি কমিয়ে রাখা গেলে জনগণ ভালো থাকবে, সরকারও স্বস্তিতে থাকবে। অনেক সময় সরকারের পতনের পেছনেও দুর্নীতি বড় ভূমিকা রাখে বলেও জানান তিনি।
দুদকের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত অনেক ব্যক্তি খালাস পেয়ে যান—এমন প্রশ্নে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা কাউকে ছেড়ে দেই না। যারা খালাস পাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও নিয়মিত আপিল করা হচ্ছে। তবে শুধু দুদক নয়—আদালত, সাংবাদিক এবং সমাজের সব অংশের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার দুর্নীতি রোধে।’
পরে বরিশাল সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন দুদক চেয়ারম্যান। ‘দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত নাগরিকসেবা এবং সেবার মান উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক এই সভায় বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘বরিশালে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক ছয়তলা বিশিষ্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ভবনের মাধ্যমে বরিশাল অঞ্চলে দুদকের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’



