বিচারপতি খায়রুল হকের প্লট বরাদ্দের অনিয়মের অভিযোগ, অনুসন্ধানে দুদক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নামে প্লট হস্তান্তর সংক্রান্ত অনিয়ম ও বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক জানায়, ২০০৩ সালে পূর্বাচল প্রকল্পে খায়রুল হকের নামে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়, কিন্তু বরাদ্দের শর্ত অনুযায়ী প্রথম কিস্তির সাড়ে ছয় লাখ টাকা সময়মতো পরিশোধ না করায় রাজউক বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ২০০৯ সালে সরকারি সংস্থার কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সেই প্লট পুনরায় তাঁর নামে হস্তান্তর করা হয়, যদিও পুরনো কিস্তির অর্থ তিনি তখনো পরিশোধ করেননি।
প্রতিষ্ঠিত নিয়ম অমান্য করে, ২০০৩ সালের চেক জমা দিয়েই প্লট হস্তান্তর নেওয়া হয়, যেটি নগদায়িত হয়নি। এরপর অবসরকালীন সুবিধা হিসেবে সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধের শর্তে প্লট তাঁকে দেওয়া হয়, যা আইন ও বিধির পরিপন্থী বলে অভিযোগ উঠে।
দুদকের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্লটটি খায়রুল হকের নামে হস্তগত করা হয়েছে, যা দুর্নীতির সন্দেহ তৈরি করেছে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।



