
প্রিন্ট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
‘আমার কলিজার টুকরা আর নাই’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৪ এএম

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে রাস্তায় বসে আহাজারি করছেন মোসলেম উদ্দিন। তার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া নাতি নাহিদ হাসান বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পুড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমার কলিজার টুকরা নাই। না করছি, বড় স্কুল কলেজে পড়াইস না। আজরাইলে নিছেরে, আমার কলিজারে আজরাইলে নিছে।’
বিলাপ করে তিনি বলেন, ‘পড়তে গিয়ে আমার নাতি লাশ হয়ে গেল।’
এদিকে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী শ্রেয়া ঘোষের (৯) শরীরের ৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার মা পপি ঘোষ বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার একটু আগে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। তখন গেটের বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় চোখের সামনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। দৌড়ে ভেতরে গিয়ে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হই। আগুনের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা বের হয়ে আসে।
তিনি বলেন, ‘মেয়ের জন্য পাগলের মতো ছুটোছুটি করছিলাম। এক পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ সময় মেয়েকে উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর পা জড়িয়ে ধরি। কিছু সময় পর দেখি আমার মেয়ে পোড়া শরীর নিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে এসেছে।’
শ্রেয়া ঘোষের চাচা সৌরভ ঘোষ জানান, ‘মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনের সামনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ভবনটি দোতলা। সেখানে পাঠদান করা হয়। ভবনটির নাম প্রজেক্ট-২। ওই ভবনে দুটি তলা মিলিয়ে মোট ১৬টি ক্লাসরুম আছে। আর ৪টি শিক্ষকদের রুম। প্রাথমিকের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস হতো এই ভবনে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শ্রেণিকক্ষের সামনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে ভবনটিতে ছুটির পর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোচিং করত।