
প্রিন্ট: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৭ এএম
মুজিববর্ষে ব্যয়ের হিসাব চেয়ে ৬৪ জেলায় চিঠি দিল দুদক, ম্যুরাল নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৪ এএম

ছবি : সংগৃহীত
সারা দেশে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণে সরকারি অর্থ ব্যয়ের হিসাব চেয়ে ৬৪ জেলা পরিষদে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২০ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধানকারী সাত সদস্যের একটি দল এ চিঠি পাঠায়।
চিঠিতে মুজিববর্ষের ব্যয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নাম, কর্মকর্তাদের পরিচয় এবং জেলা পর্যায়ে তৈরি হওয়া ম্যুরালের সংখ্যা ও তাদের খরচ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
নথি তলবের চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করে অর্থ অপচয় ও ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। দুদক জানিয়েছে, অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য এসব রেকর্ডপত্র পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
এর আগে জানুয়ারিতে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছিলেন, মুজিব কিল্লা নির্মাণ ও ম্যুরাল স্থাপনের নামে বিশাল অর্থ তছরুপ, অতিরিক্ত বিল প্রদানের অভিযোগসহ নানা অনিয়মের তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার ভাস্কর্য ও ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়, যার বেশিরভাগই অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় বলে গণ্য হচ্ছে। সরকার পতনের পর বড় আকারের অনেক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দেশে মোট ১,২২০টি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪১টি, খুলনায় ২১টি, চট্টগ্রামে ১২টি, বরিশালে ৩টি, ময়মনসিংহে ৫টি, রাজশাহীতে ৯টি, রংপুরে ৪টি এবং সিলেটে ১টি।
এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় 'মুজিব কিল্লা' নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে ১৬ জেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণের পরিকল্পনায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্মাণে মানহীন সামগ্রী ব্যবহার, দূরবর্তী স্থানে স্থাপন এবং অপর্যাপ্ত সুবিধার কারণে অধিকাংশ কিল্লাই এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।