
প্রিন্ট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৪ এএম
গোপালগঞ্জে অভিযান অব্যাহত, গণগ্রেপ্তার বন্ধ চায় বিএনপি-এনসিপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১১:২৬ এএম

ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ কেন্দ্রিক সংঘর্ষ, প্রাণহানি এবং সহিংসতার পর গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। তবে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে বলে রবিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের মিডিয়া সেল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিতে হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, যা রূপ নেয় সারাদিন ব্যাপী সংঘর্ষে। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হন। সংঘর্ষের পর রাতেই জেলায় কারফিউ জারি করে জেলা প্রশাসন, যা পরে কয়েক দফা বাড়ানো হয়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাত ৮টার পর কারফিউ ও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না—শুধু দোষীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার হবেন না।”
অন্যদিকে কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপি ও এনসিপি স্থানীয় জনগণের নামে মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, ভ্যানচালকসহ সাধারণ মানুষকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলায় ১,৬৫৫ জনের নাম উল্লেখ এবং ১,৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এনসিপির জেলা সমন্বয়কারী রুম্মান হোসেন রিমন জানান, অনেক নিরীহ মানুষকে এই মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বা সহিংসতার কোনো সম্পর্ক নেই।
পুলিশ এ পর্যন্ত চারটি পৃথক হত্যা মামলায় মোট ৫,৪০০ জনকে আসামি করেছে। তবে নিহতদের ময়নাতদন্ত এখনও হয়নি, স্বজনদের দাবি অনুযায়ী মরদেহ জোর করে নিয়ে যাওয়ার কারণে এ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সেই দাবি তুলে ধরে এক বিবৃতি দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বিবৃতিতে এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো সম্ভব ছিল। তারা প্রশ্ন তুলেছে, কেন ‘জুলাই পদযাত্রা’ পরিণত হলো ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’-এ, এবং এনসিপির ফেসবুক পোস্টগুলোর মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে কি না।