
প্রিন্ট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১০ পিএম
শান্তি চুক্তি নিয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:১০ পিএম

ছবি-যুগের চিন্তা
রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবিক্ষণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর এই প্রথম পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্য বৈঠক করেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভেদভেদীস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয় বোর্ড রেস্ট হাইজের কনফারেন্স রুমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধী প্রিয় লরমা ওরফে সন্তু লারমা ও আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম কুমার চাকমা ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা এবং,পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব কংকন চাকমা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ব্যাপী রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক চলে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের নিকট বৈঠকের সার সক্ষেপ তুলে ধরে বলেছেন আজকের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের প্রথম বিষয় হলো সমস্যা যে আছে সেটা স্বীকার করে নেওয়া।
এই সময়ে তিনি বলেছেন আমরা চেষ্টা করেছি চুক্তির ছোট বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে যাতে সহজে সমাধান করা যায়। এই সভার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছুই শিখেছি। আর বড় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অত্যান্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করেছি। কি কি সমস্যার কারণে চুক্তি বাস্তবায়ন বিলম্ব হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সমস্যা চিহ্নিত করার কোনো প্রয়োজন নাই আমরা সকলেই জানি কি কি সমস্যা বিরাজমান আছে।
সুতরাং সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করা যায়; সে বিষয়ে আমরা সকলেই আস্থা অর্জনের চেষ্ঠা করছি। এই বিষয়ে চুক্তি সম্পাদনকারি জেএসএস এর সভাপতি সন্তু লারমাকে প্রশ্ন করা হয়ে তিনিও সৌহার্দ পূর্ণভাবে আলোচনা হয়েছে বলে বলেছেন। এর বাইরে তারা কেউ মুখ খোলেনি। । পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পরিবীক্ষণ কমিটির দশম সভায় তার বক্তব্যে বলেন, এই সভা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বর্পণ পদক্ষেপ।
বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে যে,যদি সকল পক্ষ সম্মিলিতভাবে চুক্তির বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী শান্তিও উন্নয়ন সম্ভব ।এর পর অতিথিরা কাপ্তাই লেকের রাঙ্গাদ্বীপে দুপুরের লাঞ্চ করার জন্য যান।