
প্রিন্ট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৬ এএম
বিশেষ ট্রেন নিয়ে সমালোচনার ব্যাখ্যায় রেল কর্তৃপক্ষ

অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম

ছবি-সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শনিবারের (১৯ জুলাই) মহাসমাবেশ উপলক্ষে দলটির আবেদনের প্রেক্ষিতে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিষয়টি কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা ও সমালোচনার ব্যাখ্যা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য অফিসার) রেজাউল করিম সিদ্দিকী এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিশেষ ট্রেন পরিচালনার স্বাভাবিক নিয়মের কোনও ব্যত্যয় ঘটবে না।
এতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতির ইতিহাস বা নজীর না জেনে পক্ষপাতমূলকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের জানিয়েছে, অতীতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় কর্মসূচি উপলক্ষে আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার নজির রয়েছে। রাজনৈতিক দলের জনসমাবেশ বা অনুরূপ কর্মসূচির কারণে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ভাড়া আদায় সাপেক্ষে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি দেওয়া বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি নৈমিত্তিক কাজ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের সমাবেশে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি না দিলে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী নিয়মিত ট্রেনের টিকিটবিহীন যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ হয়ে পড়ে। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার ফলে নির্দিষ্ট ভাড়া পরিশোধ করে দলের নেতাকর্মীরা বিশেষ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হবে। এছাড়াও অন্যান্য ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরাও বাড়তি ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পাবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চার জোড়া বিশেষ ট্রেন নির্ধারিত রেক দিয়ে পরিচালনা করা হবে। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিরদিন হওয়ায় যাত্রীদের স্বাভাবিক চাহিদা সাধারণত কম থাকে। ফলে এসব ট্রেন পরিচালনার জন্য নিয়মিত চলাচলকারী কোনও ট্রেনের যাত্রা বিঘ্নিত হবে না। জামায়াতের সমাবেশ উপলক্ষে প্রায় ৩২ লাখ নগদ টাকায় বিশেষ ট্রেনের ভাড়া অগ্রিম পরিশোধ করেছে;এতে রেলের আয়বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত, এর সঙ্গে দলীয় রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আগের প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যে কোনও রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো কিংবা অপপ্রচারের কোনও সুযোগ নেই।