জরুরি অবস্থা ঘোষণায় লাগবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন, প্রস্তাবে রাজনৈতিক ঐকমত্য
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নয়, বরং মন্ত্রিসভার লিখিত অনুমোদন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের দ্বাদশ দিনে এই ঐকমত্য গড়ে ওঠে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংবিধানের ১৪১(ক) অনুচ্ছেদ সংশোধনের সুপারিশ করেছে, যেখানে বর্তমান ১২০ দিনের মেয়াদ কমিয়ে সর্বোচ্চ ৯০ দিন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর’ শর্তটি পরিবর্তন করে ‘মন্ত্রিসভার সম্মতি’ বাধ্যতামূলক করার বিধান যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অনুচ্ছেদের ভাষায় ব্যবহৃত ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগ’ শব্দটি পরিবর্তে ‘রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত হুমকি’ যুক্ত করার প্রস্তাবও আসে আলোচনায়।
জরুরি অবস্থার সময় নাগরিকের জীবনধিকার ও নিষ্ঠুর আচরণ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংবিধানের ৪৭(৩) ধারা অনুযায়ী দুটি মৌলিক অধিকারকে ‘অলঙ্ঘনীয়’ হিসেবে বিবেচনার ওপরও জোর দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে মন্ত্রিসভাকে সিদ্ধান্তদাতা নির্ধারণের প্রস্তাবে মতপার্থক্যও দেখা দেয়। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব দেয়, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ বিরোধী দলকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলে। জামায়াত, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের নেতারাও বিরোধী দলীয় নেতা/উপনেতার বাধ্যতামূলক উপস্থিতির কথা তুলে ধরেন।
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জরুরি অবস্থা ঘোষণা মন্ত্রিসভার লিখিত অনুমোদন ব্যতীত সম্ভব হবে না এবং সেই বৈঠকে বিরোধী দলীয় নেতা কিংবা অনুপস্থিত থাকলে উপনেতার উপস্থিতি থাকতে হবে।



