
প্রিন্ট: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৩ এএম
ইসি সচিবের দাবি : এনআইডি সংশোধনে হয়রানি কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম

ছবি - আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের ক্ষেত্রে নাগরিকদের হয়রানি কমেছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেছেন, এনআইডি সংশোধন ক্র্যাশ প্রোগ্রাম গ্রহণের ফলে এক্ষেত্রে নাগরিকদের ভোগান্তির মাত্রা কমেছে। আগামীতে হয়রানির এমন অভিযোগ থাকবে না বলেই আশা করা যায়।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব এসব কথা বলেন। এনআইডি সংশোধনে গৃহীত ক্র্যাশ প্রোগ্রামের ছয় মাসের অগ্রগতি তুলে ধরতে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
ইসি সচিব বলেন, প্রতি মাসে নাগরিকদের এনআইডি সংশোধন নিয়ে আবেদনও কমে আসছে। ভোগান্তির মাত্রাও কমে এসেছে। আশা করি আগামীতে এনআইডি সেবা নিয়ে আর হয়রানির অভিযোগ থাকবে না।
তিনি জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারিতে এনআইডি সংশোধনের অনিষ্পন্ন আবেদন ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৬টি। ৩০ জুন পর্যন্ত ছয় মাসে নতুন আবেদন পড়ে ৬ লাখ ৫ হাজার ৫২০টি। সব মিলিয়ে ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৬টি আবেদনের মধ্যে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রামে’ নিষ্পন্ন করা হয়েছে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৬২টি।
আখতার আহমেদ বলেন, প্রতি মাসে আগে যেখানে গড়ে এক লাখ করে আবেদন পড়ত, এখন তা কমে এসে প্রায় ৮০ হাজারে নেমেছে। বর্তমানে অনিষ্পন্ন আবেদন রয়েছে ৭৬ হাজার ৬৯৪টি।
এনআইডি সংশোধনকে ঘিরে বরাবরই নাগরিকদের নানা ধরনের হয়রানি ও দুর্ভোগের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বর্তমান ইসির উদ্যোগে তা ধীরে ধীরে কমে আসছে।
এনআইডি আবেদনের ক্ষেত্রে সংশোধনের মাত্রা দেখে চারটি ক্যাটাগরি করে দিয়েছে ইসি সচিবালয়। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পূরণ, দলিলাদি যথাযথ কিনা যাচাই, শুনানি করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশোধন করে দেওয়া হয়।
২০২০ সাল থেকে ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার ১১টি আবেদন হয়েছে। সেক্ষেত্রে চার ক্যাগাটরিতে আবেদন নিষ্পন্ন হয়েছে ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪২০টি।
আখতার আহমেদ বলেন, আমার মনে হয়, নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে মানুষের ভোগান্তির মাত্রাটা কমেছে। ছয় মাসে তুলনামূলক আবেদনের সংখ্যাও কমেছে। আগামী কয়েক মাসে তা সন্তোষজন পর্যায়ে আসবে এবং হয়রানি অভিযোগগুলো আর হয়তো থাকবে না।
৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর নানা অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কিছু রাজনীতিবিদসহ অনেকের এনআইডি ‘লক’ রয়েছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সচিব বলেন, ‘নানা কারণে এনআইডি লক করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে এনআইডির অপব্যবহার রোধে তা করা হয়। আমার এনআইডিও লক করা আছে। কারোর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তথ্য না নেওয়াই ভালো।’