
প্রিন্ট: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০২:২৭ এএম
জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ভাবছে সরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১০:৫৩ এএম

ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নাগরিক সেবা সচল রাখতে এবং নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা যাচাইয়ে এই নির্বাচন হতে পারে একটি কার্যকর ‘ট্রায়াল রান’। তবে জাতীয় নির্বাচন আগে হবে, নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন—এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো ঐকমত্য হয়নি।
বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের অগ্রাধিকার চাইলেও জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ ও এবি পার্টি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকার দুই সিটিসহ ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ায় সরকার আইন সংশোধন করে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে সময় সীমিত। জনগণের ভোগান্তি কমাতে অন্তত সিটি করপোরেশন পর্যায়ে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।” তিনি মনে করেন, এতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা যাচাইয়ের সুযোগ তৈরি হবে।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, সরকার চাইলে ইসি স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন করবে। তবে কোন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকারের।
বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রয়োজন নেই।” অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দল স্থানীয় নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিতে চায়।
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, “বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচন নয়, বরং সংস্কার করে একক তফসিলে সব স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।” তিনি জানান, সংস্কার করতে সর্বোচ্চ এক মাস সময় লাগবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হলে প্রশাসনিক শূন্যতা পূরণ হবে এবং জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সহজ হবে। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া এই উদ্যোগে আস্থার সংকট তৈরি হতে পারে।