
প্রিন্ট: ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
এসএসএফকে পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম

সব ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৮ জুন) স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসএসএফ অন্যান্য বাহিনীর তুলনায় একটি ক্ষুদ্র বাহিনী। তবে এর কাজের গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতা অনেক বেশি। এ বাহিনী তার নেতৃত্বে এবং তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এটি একটি প্রশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল বাহিনী যারা তার ও রাষ্ট্রপতির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
তিনি বলেন, বিগত ১০ মাসে এসএসএফ দেশে/বিদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছে। এসএসএফের সার্বিক পেশাদারত্ব এবং আন্তরিকতা নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট ও এসএসএফের সব সদস্যকে তার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বঙ্গভবনসহ আমার বাসস্থান, কার্যালয় এবং সব ধরনের গমনাগমনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঢাকার অভ্যন্তরে এবং বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, দেশের বাইরেও আমার রাষ্ট্রীয় সফরগুলোতে এসএসএফ বিভিন্ন দূতাবাস এবং সংশ্লিষ্ট দেশের প্রটোকল ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করে সফরসমূহ সাফল্যমণ্ডিত করেছে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন ,জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে বরং জনসংযোগ ও নিরাপত্তার মেলবন্ধনের মাধ্যমেই এসএসএফ তার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করবে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এসএএফের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সরঞ্জামাদির আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত হয়েছেন। বিশেষ করে, গত বছরের ৫ আগস্ট এই বাহিনীর কিছু যানবাহন ও সরঞ্জামাদির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, যা অল্প সময়ের মধ্যেই কার্যক্ষম করা হয়েছে। পাশাপাশি, বাহিনীর অভিযানিক কার্যক্রম আরও বেগবান ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামাদির ব্যবহার এবং দেশে-বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, দ্রুত এসএসএফ তাদের ১২ বছরের পুরাতন বিএইচএফ রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম পরিবর্তন করে সর্বশেষ মডেলের ইউএইচএফ রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম সংযোজন করবে, যা তাদের অভিযানিক কার্যক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে। এসএসএফের অত্যাধুনিক ইনডোর ফায়ারিং রেঞ্জের কাজ প্রায় সমাপ্ত ও আগামী মাস থেকে এটি ব্যবহার করা সম্ভব হবে জেনে তিনি খুশি হয়েছেন। এ ফায়ারিং রেঞ্জের জন্য ভূমি বরাদ্দসহ অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা এসএসএফ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক বাহিনী, পিজিআর ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের ওপর নির্ভর করতে হয়। এসএসএফের সব সহযোগী বাহিনী ও সংস্থার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং নিবিড় যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।