
প্রিন্ট: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৫ পিএম
চাঁদপুরে সিন্ডিকেটের কবলে ইলিশের বাজার

চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ০৪:০২ পিএম

চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র
সিন্ডিকেটের কারণে চড়া মূল্যে চাঁদপুরে ইলিশ বিক্রি হয়। যে কারণে সাধারণ ক্রেতা ও স্থানীয়রা ইলিশের স্বাদ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ইলিশের মূল্য নির্ধারণের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের চিঠি দিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশ সুস্বাদু এবং মানের দিক থেকেও অতুলনীয়। এর প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম জেলা ব্র্যান্ডিং হিসেবে চাঁদপুর জেলাকে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ হিসেবে সরকার স্বীকৃতি দেয়। ইলিশের সুস্বাদুটার সুযোগ নিয়ে চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী/আড়তদার নিজের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন। যা একেবারেই ক্রেতার নাগালের বাহিরে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি গণমাধ্যমের হাতে আসে।
এমনকি চাঁদপুরের স্থায়ী বাসিন্দাদেরও অভিযোগ ইলিশের চড়া মূল্যের কারণে তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে।
ইলিশের দাম অসাধু ব্যবসায়ী/সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। যেহেতু ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয়, সেহেতু ইলিশ আহরণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ইলিশের মূল্য নির্ধারণ প্রয়োজন।
চাঁদপুর মৎস্য ও বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার বলেন, ‘চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে যে পরিমাণ ইলিশের চাহিদা ওই রকম আমদানি হয় না। অল্পকিছু ইলিশ আসে যে কারণে দাম বেড়ে যায়। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। স্থানীয় পদ্মা-মেঘনায় আগের মত ইলিশ নাই। দিনে ৫-১০ কেজি ইলিশ আসে আড়তে। যে কেউ দাম নিয়ে মন্তব্য করতে হলে বাস্তবে এসে দেখতে হবে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, ‘মৎস্য বিভাগ বছরজুড়ে ইলিশ সরবরাহের তথ্য সংরক্ষণ করে। যদি কোনো সংস্থা মূল্য জানতে চায় তখন ওই সময়ের বাজার দর দেওয়া হয়। মূলত মৎস্য বিভাগ ইলিশের দর নিয়ে কাজ করে না। কাজ করে সরবরাহ নিয়ে।’
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ‘ইলিশের মূল্য নির্ধারণের জন্য বাস্তবচিত্র তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’