
প্রিন্ট: ২৮ জুন ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রবিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ০৩:০১ পিএম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রবিবার (১ জুন) আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। অভিযুক্ত অপর দুই ব্যক্তি হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
শনিবার (৩১ মে) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ডিসেম্বরের মধ্যেই এই হত্যাযজ্ঞের বিচার দৃশ্যমান হবে। এমনভাবে বিচার পরিচালনা করা হবে যাতে কারও পক্ষ থেকে এর নিরপেক্ষতা বা মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ না থাকে।
এর আগে গত ১২ মে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নির্বিচারে প্রায় ১,৪০০ জন মানুষ নিহত হয়, যার নির্দেশদাতা ছিলেন শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে নির্বিচারে হত্যার নির্দেশনা, প্ররোচনা ও উসকানিসহ পাঁচটি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধেও।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে ২০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয় ১২ মে।
তদন্তে উঠে এসেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিত ও নিষ্ঠুরভাবে গুলি চালায় এবং নির্বিচারে হত্যা করে। এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর একই ঘটনায় দায়ের হওয়া আরও দুটি মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার জন্য দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলাগুলোর মাধ্যমে ২০২৪ সালের বর্ষাকালে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো সহিংস দমন–পীড়নের বিচার কার্যক্রম একটি নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে।