
প্রিন্ট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা এই প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে এই গণহত্যার মূল নির্দেশদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। আজ দুপুর ১টায় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
এর আগে গত শুক্রবার নিজের এক ফেসবুক পোস্টে তাজুল ইসলাম লেখেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট আগামী সোমবার চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা দেবে বলে আশা করছি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ—ফরমাল চার্জ—দাখিলের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই ফরমাল চার্জ দাখিল করে ওই ঘটনার বিচার শুরু হবে বলে জানান তিনি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়। চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেয়। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগেও ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর দায়ের করা দুটি মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো, পরিকল্পিত হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সেই দমন-পীড়নে প্রাণ হারায় প্রায় দেড় হাজার মানুষ।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন সফল হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।