
প্রিন্ট: ২৭ জুন ২০২৫, ১১:২২ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আগুনে পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত কাজ চালিয়ে যেতে আরও ৬ মাস সময় চেয়ে আবেদন করেছে টাস্কফোর্স, যা আদালত মঞ্জুর করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির এবং রিটকারীর পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ডিবি কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। এর পর তারা তদন্তের জন্য ৯ মাস সময় চাইলেও আদালত ৬ মাস সময় দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুরুতে মামলার তদন্তে ছিল শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ ও পরে ডিবি। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় র্যাবকে।
তবে গত ১৩ বছরেও মামলার কোনো চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি র্যাব।
জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ রিট দায়ের করে। সেই রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন—সাংবাদিক দম্পতি হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আমরা ২০১২ সালেই রিট করেছিলাম। তদন্তে গড়িমসি ও আসামিদের আইনের আওতায় না আনার কারণে মামলার অগ্রগতি থেমে আছে। আজও কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।
এ মামলার বাদী পক্ষে আইনজীবী শিশির মনিরকে ২০২3 সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিযুক্ত করা হয়।
মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও প্রমাণ পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, প্রশ্ন উঠছে তদন্তের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে।