আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি ট্রাইব্যুনালে পৌঁছান। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক আজকের নির্ধারিত দিনে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর ২১ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করে।
গত ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয়। এ মামলায় ছয়জন গ্রেপ্তার থাকলেও বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৬ জন এখনো পলাতক। তাদের পক্ষে গত ২২ জুলাই রাষ্ট্রীয় খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। তাদের উপস্থিতিতেই আজ প্রসিকিউশন সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করে।
পলাতক আসামিদের পক্ষে গত ৩০ জুলাই শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা। পাঁচজনের হয়ে লড়েন সুজাত মিয়া, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন মামুনুর রশীদ। এছাড়া ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলামও শুনানিতে অংশ নেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন গাজী এমএইচ তামিম, মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
গত ২৯ জুলাই তিন আসামির পক্ষে শুনানি হয়। শরিফুলের হয়ে লড়েন আমিনুল গণি টিটো, কনস্টেবল সুজনের হয়ে আজিজুর রহমান দুলু এবং ইমরানের হয়ে সালাহউদ্দিন রিগ্যান। তারা তিনজনেরই অব্যাহতি দাবি করেন।
এর আগে ২৮ জুলাই প্রসিকিউশন ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করে। ওই দিন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালতে মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও বিস্তারিত তুলে ধরেন। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আদালতে আমলে নেওয়া হয় ৩০ জুন এবং তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ে ২৪ জুন।



