প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে প্লট দুর্নীতির তিন মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবিও।
এর আগে গত রোববার এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক হয়নি এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগেও তারা নির্দোষ দাবি জানাতে পারেননি।
দুদক প্রসিকিউটর খান মো. মাইনুল হাসান (লিপন) বলেন, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা—জীবন কারাদণ্ড—প্রত্যাশা করেছেন তারা। অন্যদিকে খুরশীদ আলমের আইনজীবী শাহীনুর রহমান দাবি করেন, দুদক অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দের অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ৬টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ শেখ পরিবারের একাধিক সদস্যকে আসামি করা হয়।
এছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সাবেক সচিব, অতিরিক্ত সচিব, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান, সদস্য, পরিচালকসহ আরও বহু কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বাকি তিন মামলার অভিযোগ গঠন হয় বিশেষ জজ আদালত-৪-এ।
দুদকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৪ জানুয়ারি ও ১২ জানুয়ারির দুটি মামলায় তদন্ত শেষে যথাক্রমে ১২ ও ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আর সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্লট বরাদ্দের অনিয়ম সংক্রান্ত মামলায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা পড়ে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ দায়িত্বে থাকার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে যোগ্যতা ছাড়াই ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন।



