রাজউকের প্লট বরাদ্দ দুর্নীতি
শেখ হাসিনাসহ ২৩ আসামির তিন মামলার রায় পড়া শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দায়ের হওয়া তিন মামলার রায় বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) পড়া শুরু করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে তিনি রায় ঘোষণা কার্যক্রম শুরু করেন।
রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি সদস্যও।
এর আগে গত রোববার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি—রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক হয়নি এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও তারা পাননি।
দুদক প্রসিকিউটর খান মো. মাইনুল হাসান (লিপন) জানিয়েছেন, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা—আজীবন কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করছে দুদক। অন্যদিকে আসামি খুরশীদ আলমের আইনজীবী শাহীনুর রহমান দাবি করেছেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, তাই তিনি খালাস পাওয়ার যোগ্য।
আদালত সূত্র জানায়, প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ছয়টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও রাজউকের একাধিক সাবেক সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই বিশেষ জজ আদালত-৫ তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। বাকি তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেন বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম।
একটি মামলায় দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন ১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। তদন্ত শেষে মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়। অপর মামলাগুলোতেও তদন্ত শেষে অতিরিক্ত আসামি যুক্ত করা হয়, ফলে কয়েকটি মামলায় আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ ও ১৭ জনে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—সরকারের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অযোগ্য হয়েও পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেওয়া হয়, যা ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির শামিল বলে উল্লেখ করেছে দুদক। রায় পড়া অব্যাহত রয়েছে।



